আমার বাংলা ওয়েব,বর্ধমান, ৬ জুলাই :
পুলিশের জালে প্রতারণা চক্র। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যপালকে পাঠানো চিঠি দেখিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগে আট জনকে গ্রেফতার করলো মেমারি থানার পুলিশ।সোমবার বিকালে তাদের পালসিট এলাকায় একটা ধাবা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের মধ্যে ছয় জন মুর্শিদাবাদের এবং দুজন হুগলি ও বীরভূমের বাসিন্দা।ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ নগদ এক লক্ষ দশ হাজার পাঁচশো টাকা, সাতটা মোবাইল, সাতটা রাবার স্ট্যাম্প ও বেশ কিছু আবেদনকারীর প্ল্যানেল লিস্ট উদ্ধার করেছে।
ধৃতদের এদিন বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয়। তাদের সাত দিনের পুলিশ হেপাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের জালে প্রতারণা চক্র, গ্রেফতার আট
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই চক্রটি গতকাল মেমারির পালসিট এলাকায় একটা ধাবাতে বসে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল।
আরও পড়ুন : হাওড়া রাধিকাপুর এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশ জানতে পারে চক্রটি ২০১৮ সাল থেকে রোড সেফটি অর্গানাইজেশন নামে কাজ করছিল এবং রোড সেফটি ট্রেনিং করাচ্ছিল।
এরপর তাদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আদায় করতো। তাদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
এছাড়া আবেদনকারীদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য বিভিন্ন খবরের কাগজে প্যানেল লিস্ট প্রকাশ করেছিল।
আরও পড়ুন : বর্ধমানে বাঁধের ধারে যুবতীর আধপোড়া দেহ, চাঞ্চল্য
পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় বলেন, ‘প্রতারণা চক্রটি
ভারত সরকারের অধীন মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়েতে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
পুলিশ ইতিমধ্যেই অনেক তথ্য পেয়েছে। ধৃতদের পুলিশ হেপাজতে নিয়ে আরো অনেক কিছু জানা যাবে। এদের কাছ থেকে নগদ এক লক্ষ দশ হাজার পাঁচশো টাকা পাওয়া গেছে, দুটো রেজিস্টার, সাতটা রাবার স্ট্যাম্প,দুটো পেনড্রাইভ, সাতটা মোবাইল ফোন, এবং আবেদনকারীদের প্যানেল লিস্ট পাওয়া গেছে। ওই প্যানেল লিস্ট তারা সংবাদপত্রে ছাপিয়ে ছিল। তাদের কাছ থেকে জানা গেছে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে, রাজ্যপালের দফতরেও চিঠি পাঠিয়েছিল, যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের সাত দিনের পুলিশ হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এদের কাছ থেকে জানা গেছে এদের কলকাতায় একটা অফিস আছে যেখানে ওদের একজন চেয়ারম্যান আছে যার নাম দেবকুমার চ্যাটার্জি। তার সম্বন্ধেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে৷’