Tuesday, October 8, 2024
Homeআমার উৎসবমা বিপত্তারিনীর প্রিয় দুটি ফুলের নাম কি জানেন?

মা বিপত্তারিনীর প্রিয় দুটি ফুলের নাম কি জানেন?

আমার বাংলা, 9 জুলাই :
কথায় আছে তেরো-তে গেরো, অথচ এই তেরোই নাকি আজকের দিনে শুভ বলে মনে করা হয়। তাই 13 টা পান, 13 রকমের ফুল, 13 রকমের ফল 13 টা লুচি, 13 টা মিষ্টি লাগে বিপত্তারিনী পুজোতে। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। আষাঢ় মাসের রথযাত্রার পরেই আসে মা বিপত্তারিনী ব্রত।

আষাঢ় মাসের রথযাত্রা ও উলটো রথের মাঝে মঙ্গল বার ও শনি বার এই তিথি পালন করা হয়। বিপত্তারিনী ব্রত রেখে পুজো দেন হিন্দু ধর্মের মহিলারা। চলতি বছরে 9 জুলাই মঙ্গলবার ও 13 জুলাই শনিবার এই ব্রত পালন করা হবে।

সকলে মনে করেন যে এই পুজো করলে সব বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়া যায়। সাধারণত আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে নবমী তিথির মধ্যে এই ব্রত পালন করা হয়ে থাকে। বিপত্তারিনী ব্রতর ক্ষেত্রে 13 সংখ্যার বিশেষ গুরুত্ব আছে।
মা দুর্গার ৫১টি রূপের মধ্যে এই ১টি রূপ যাকে সংকটনাশিনী বিপদতারিণী রূপে পুজো করা হয়। হিন্দু ধর্মের মহিলারা কাছে এই ব্রত খুব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন, যাতে করে তার স্বামী বা সন্তান সুস্থ বা বিপদ মুক্ত হতে পারে।মূলত পরিবারের কল্যাণের কথা ভেবেই এই ব্রত পালন করে। এই পুজো শুধু বিপদের জন্যই নয় সংসারের আর্থিক বা ঋণ মুক্তির জন্যই এই পুজো করা হয়। এই পুজোর কিচ্ছু বিধি নিষেধ আছে, যা বহু বছরের নিয়ম অনুযায়ী হয়ে আসছে। যেমন 13 টি পান পাতা,13 টি সুপারি, 13 টি দুর্বা,13 রকমের ফুল, 13 রকমের ফল ইত্যাদি লাগে। উপবাস ভাঙা হয় 13 টি লুচিও 13 রকমের মিষ্টি খেয়ে! এছাড়া লাল সুতোতে 13 টি গিট দিয়ে মঙ্গল ও বিপদ মুক্তির জন্য হাতে বাঁধা হয়।

যারা উপোস করেন তারা পুজোর আগের দিন নিরামিষ খাবার খান এবং পুজো শেষ হয়ে ১৩টি ফল, লুচি খাবার খেয়ে ঐ জায়গায় বসে তাঁর পর বাড়ি আসেন। আর পুজোর সময় কথা বলতে মানা করা হয়।পুজো শেষে ব্রতর কাহিনী শুনতে হয়, এতে সকলের মঙ্গল হয়। তবে এই পুজোতে লাগবে জবা ও পদ্মফুল। মা বিপত্তারিনীর খুব প্রিয় এই দুটি ফুল।
বর্ধমান শহরের সর্বমঙ্গলা বাড়ি, বীরহাটা বড়মা কালী, এদিন ত্রিকোনাপুকুর কালীবাড়ি সহ বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিতে মানুষের ঢল নামে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

RELATED ARTICLES

সাম্প্রতিক খবর

মন্তব্য