আমার বাংলা, 8 জুলাই :
মোদির বন্ধুও ইংল্যান্ডে 140 আটকে গেছেন বলে জানালেন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত ব্যানার্জি। বললেন, সেখানেও ধর্মকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। সেখানে যারা জিতেছেন 400 পেরিয়ে গেছেন। শনিবার বর্ধমান রেলস্টেশন চত্বরে কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলার প্রতি বঞ্চনা ও রেল হকারদের প্রতি লাগাতার অত্যাচার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। পূর্ব বর্ধমান জেলা আইএনটিইউসির উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, মহিলা সমিতির জেলা সভাপতি শিখা সেনগুপ্ত, যুব জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদার, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্তা এবং আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি সন্দীপ বসু প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার করা সমালোচনা করে ঋতব্রত ব্যানার্জি বলেন, বাংলার যে এক লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা হকের টাকা প্রাপ্য টাকা ন্যায্য টাকা এই টাকা কোন দয়া-দাক্ষীন্যের টাকা নয়, ভিক্ষার টাকা নয়, এই টাকা গায়ের জোরে আটকে রাখা যায় না। আমাদের দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সর্বোচ্চ 15 দিনের মধ্যে এই টাকা ছেড়ে দেওয়ার কথা। অথচ এই টাকা বছরের পর বছর আটকে রেখেছে। এমন ভাব করছে যে যেন এই টাকা বিজেপির বাবার টাকা, বিজেপির পৈত্রিক সম্পত্তি। আমরা জানতে চাই, এই টাকা কবে পাওয়া যাবে ? এই টাকা বিজেপির টাকা নয়, সিপিআইএমের টাকা নয়, কংগ্রেসের টাকা নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের টাকা নয়। এই টাকা বাংলার মানুষের টাকা, বাংলার মানুষের এই হকের টাকা প্রাপ্য টাকা জোর করে আটকে রেখেছে বিজেপি। দিচ্ছে না। এই টাকা 100 দিনের টাকা, আবাস যোজনা টাকা, গ্রামীন সড়কের টাকা। অথচ সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্যে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার 100 দিনের কাজের বকেয়া সেই টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাঁর আভিযোগ, বাংলা বিরোধী ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র, বাংলার মানুষকে পথে বসানোর চক্রান্ত বিজেপি করেছে। এই বিজেপি গোটা রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের সময় 400 পার করতে করতে গতকাল ইংল্যান্ডে নির্বাচনে মোদির বন্ধু পরাজিত হয়েছেন। এখানে 400 পার বলে 240 আটকে গেছেন মোদি। আর মোদির বন্ধু ইংল্যান্ডে 140 আটকে গেছেন। সেখানেও ধর্মকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। সেখানে যারা জিতেছেন 400 পেরিয়ে গেছেন। মোদির বন্ধু 400 পেরোতে পারেননি। দিল্লিতে যে সরকার তৈরি হয়েছে, সেই সরকার পাঁচ বছর পেরোতে পারবে না। কারণ, সরকারের সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই বলে তাঁর দাবি। পাশাপাশি ঐতিহাসিক এই বর্ধমান স্টেশনে রেলের হকারদের ওপর যেভাবে আরপিএফ অত্যাচার শুরু করেছে তা নজিরবিযহীন আক্রমণ বলে কড়া সামালোচনা করেছেন ঋতব্রত।
তিনি বলেছেন, রেল কেন্দ্রীয় সরকারের হতে পারে, রেলের লাইন কেন্দ্রীয় সরকারের হতে পারে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রেলের প্ল্যাটফর্ম, রেলের লাইন, কম্পার্টমেন্ট, সার্ভিস আম্বানি আদানিদের কাছে বন্ধক দিতে পারে, কিন্তু এই রেলস্টেশনগুলো বাংলার মাটিতে। বাংলার মানুষ এই রেলস্টেশন ব্যবহার করেন বলে তিনি সতর্ক করেছেন আরপিএফকে।