আমার বাংলা ওয়েব ডেক্স,১ এপ্রিল :প্রথম দফায় নির্বাচন হয়েছিল শান্তিপূর্ণ। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ঝরলো রক্ত। বৃহস্পতিবার রাজ্যের চারটি জেলায় তিরিশটি বিধানসভা আসন ভোট গ্রহণ করা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৯ টি বিধানসভা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৯ টি আসন, বাঁকুড়া জেলার ৮ টি আসন ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ৪ টি আসনে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ৮০.৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, দাসপুর, খড়গপুর, ডেবরা, পিংলা, সবং ও নারায়ণগড়ে ভোট গ্রহণ করা হয়। সেখানে ৭৮.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম তমলুক হলদিয়া মহিষাদল পাঁশকুড়া পূর্ব পাঁশকুড়া পশ্চিম ময়না নন্দকুমার ও চন্ডিপুর বিধানসভা এলাকায় বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ৮১.২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বাঁকুড়া জেলায় বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮২.৭৮ শতাংশ। ওই ওই জেলার তালড্যাংরা, বাঁকুড়া, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস ও সোনামুখী বিধানসভা এলাকায় ভোটগ্রহণপর্ব চলে।
দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার গোসাবা, পাথর প্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর বিধানসভা এলাকায় সকাল সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ৭৯.৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা, সবং, দাসপুর কেশপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তি শুরু হয়। তবে সব থেকে হাই ভোল্টেজ এলাকা ছিল এদিন নন্দীগ্রাম। সেখানেও বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে বিক্ষিপ্তভাবে নানা অশান্তির খবর আসতে থাকে। কিন্তু এরপরেও বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নন্দীগ্রামে ভোট পড়েছে 80.79 শতাংশ ।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেন, ১০০ বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল। বয়াল অঞ্চলের বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেলে সেখানে উত্তেজনা ছড়ালে ঘন্টা দুয়েক ওই বুথেই আটকে থাকেন তৃণমূল নেত্রী।
দ্বিতীয় দফার ভোটে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংযুক্ত মোর্চা। তাদের অভিযোগ, অনেক অনেক ক্ষেত্রেই কমিশন পক্ষপাতিত্ব করেছে এমনকি তাদের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে বামেদের অভিযোগ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পরিবেশকে কলুষিত করা হয়েছে। এর দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ করে বলেন, কমিশন ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু তার পরেও কিভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসকদল বারবার ১৪৪ ধারা ভেঙেছে । অথচ কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।