আমার বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো :
জমে উঠেছে লক্ষ্মী পুজোর বাজার। বাজারে ১০০ থেকে তিন হাজার টাকার বিভিন্ন লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে হাজির মৃৎশিল্পীরাও। তবে বর্ধমানের বাজারে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির জেরে ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে ফুল ফল সবজি প্রতিমার কেনাকাটা।
https://www.aamarbangla.in/kojagari-lakshmi-puja-2024-market/
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আগের দিনেই জমে উঠেছে বাজার৷দিন কয়েক আগে দু-পাঁচ টাকায় যে পদ্মের কুঁড়ি বিক্রি হতো একলাফে সেই পদ্মের কুঁড়ি ৪০-৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে ফুল ফল সবজিরও।
লক্ষ্মী পুজোর দিনে মূলত বিভিন্ন বাড়িতে খিচুড়ি ভোগ, লুচি, লাবড়া জাতীয় খাবার পরিবেশন করা হয়। ফলে সবজির দাম বাড়লেও একলাফে দাম বেড়েছে লাবড়া বা খিচুড়ি তৈরির উপকরণগুলির। আলু ঝিঙে কুমড়োর দাম অনেকটাই বেড়েছে। তবে সবচেয়ে ঝাঁঝ বেশী কাঁচা লঙ্কার। দিন দুয়েক আগেও যেখানে কাঁচা লঙ্কা কেজি প্রতি এক দেড়শো টাকায় বিক্রি হচ্ছিল সেখানে আজ মঙ্গলবার কেজি প্রতি কাঁচা লঙ্কার দাম ২০০ -২৫০ টাকা। ফুলকপি প্রতি পিস ৫০- ৬০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, বেগুন কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা, গাজর ৮০-১০০ টাকা, কুমড়ো ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঝিঙে ৪০-৬০ টাকা, শশা ১০০ টাকা। আদা ৮০-১০০ টাকা, রসুন ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ফলের বাজারেও দাম আকাশছোঁয়া। আপেল কেজি প্রতি একশো টাকা, শশা একশো টাকা কেজি, ন্যাসপাতি ১৫০ টাকা, শশা একশো টাকা, মুসুম্বি একশো টাকা, কাঁঠালি কলা আশি টাকা ডজন, আতা ২০০ টাকা,বেদানা ২৫০ টাকা, কমলা লেবু ১৫ টাকা পিস ।
ক্রেতারা বলছেন যেহেতু লক্ষ্মী পুজো বাড়িতে হবেই তাই ফল সবজির দাম বাড়লেও তাদের কিছু করার নেই। আনাজ ফল তো কিনতে হবেই। কিন্তু বাজেটের বেশি হয়ে গেলে কাটছাঁট তো করতেই হবে।
কার্জনগেট চত্বরে বাজার করতে এসেছিলেন বাবলি ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ অন্যান্য দিনের তুলনায় ফল কিংবা সবজির দাম অনেকটাই বেশি। বিশেষ করে লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে খিচুড়ি কিংবা লাবড়া তৈরির জন্য ফুলকপি, কুমড়ো, ঝিঙে টমেটো বরবটি সব কিছুরই দাম বেশি। কিন্তু দাম বাড়লেও কিছু করার নেই। কিনতে তো হবেই। ‘
সবজি বিক্রেতা সহদেব মন্ডল বলছেন পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি থাকায় তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বাধ্য হচ্ছেন তারা সবজির দাম বাড়াতে। ফলে ক্রেতারা সমস্যায় পড়েছেন। তারা ইচ্ছা থাকলেও বেশি সবজি কিনতে পারছেন না। ফলে পুজোর বাজারে ব্যবসা যে রকম হওয়ার কথা সেই হারে হয়নি। ‘