আমার বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো :
আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের পূর্ণিমাই শরৎ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। এই পূর্ণিমাই কোজাগরী পূর্ণিমা। এদিন দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার পাশাপাশি অনেকেই দেবীকে পায়েস অর্পণ করে থাকেন। সেই পায়েস রাতে চাঁদের আলোয় রাখাকে শুভ বলে মনে করা হয়। এর ফলে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
কোজাগরী পূর্ণিমাকে শারদ পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে। ধর্মমত অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলোয় রান্না করে পায়েস রাখাকে শুভ হিসেবে ধরা হয়। পরে সেই পায়েস খাওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।
সনাতনী বিশ্বাস অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয়, কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে ধনদেবী লক্ষ্মী মর্তে নেমে বিচরণ করেন।তিনি সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী। তাই এদিন ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়। এদিন পুরো ১৬ কলায় চাঁদ পূর্ণ হয়। এই চাঁদের স্নিগ্ধ আলো বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী আলো বলে মনে করা হয়। তাই এই পূণ্য তিথিতে ক্ষীর বা পায়েস রান্না করার প্রচলন আছে। পূর্ণিমার চাঁদ ওঠার পরে বাড়ির যে অংশে চাঁদের আলো পড়বে কিংবা বাড়ির ছাদে চাঁদের আলোর নিচে সেই ক্ষীর বা পায়েস রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। এই সময় পায়েসের বাটি হাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে ‘ ওম চন্দ্রামাসে নমহঃ ‘ মন্ত্রটি ২১ বার পাঠ করাকে শুভ হিসেবে ধরা হয়। পরে সেই পায়েস বাড়ির সকলকে খেতে দেওয়া উচিত।
https://www.aamarbangla.in/kojagari-lakshmi-puja-2024-market/
তাহলে কখন চাঁদের আলোয় পায়েস রাখবেন?
আজ ১৬ অক্টোবর বুধবার শ্রীশ্রী কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মত অনুসারে আজ বুধবার রাত ৮ টা ৪১ মিনিট গতে শ্রীশ্রী কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। পরের দিন বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর বিকেল ৪ টে ৫৬ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শেষ হচ্ছে। বাংলা তারিখ হিসেবে ধরলে ৩১ আশ্বিন, বৃহস্পতিবার।
অন্যদিকে গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মত অনুসারে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ১৬ অক্টোবর বুধবার রাত ৭ টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে। বাংলার তারিখ হিসেবে ধরলে ২৯ আশ্বিন বুধবার। পূর্ণিমা তিথি শেষ হচ্ছে ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধে ৫ টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে।
ফলে যারা রাতে পুজো করতে চান তারা ১৬ অক্টোবর রাতে পুজো করতে পারবেন। কারণ রাত্রি জাগরণ করতে হলে সেই বুধবারের রাতকেই বেছে নিতে হবে। আবার পরের দিন ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলার দিকেও কেউ পুজো করতে চাইলে করতে পারবেন।
ফলে সন্ধে নাগাদ চাঁদ ওঠার পরে বিশুদ্ধ পঞ্জিকা কিংবা গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী পুজো শুরু করা যেতে পারে। তবে যারা আজ রাতেই পুজো করবেন তারাই এদিন পুজোর পরে পায়েস রান্না করে চাঁদের আলোয় রাখতে পারবেন। আগামীকাল সকালে পুজো করলে তারা আর চাঁদের আলোয় পায়েস রাখার সুযোগ পাবেন