Saturday, February 15, 2025
Homeঅন্যস্বাদেKojagari Lakshmi Puja Rituals 2024: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে এই পাঁচটা কাজ করুন, দেবীর...

Kojagari Lakshmi Puja Rituals 2024: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে এই পাঁচটা কাজ করুন, দেবীর আশীর্বাদে ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা!

আমার বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো : হিন্দু ধর্ম অনুসারে দেবী লক্ষ্মী হলেন সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি, ধনসম্পদের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী। বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে দেবী লক্ষ্মী বিরাজ করেন সেই বাড়িতে ধনসম্পদ উপচে পড়ে। তাদের কোন অর্থের অভাব থাকে না। লক্ষ্মী পুজোর দিনে কোন কাজগুলো করা উচিত একবার চোখ বুলিয়ে নিন:

লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া: লক্ষ্মী পুজোর রাতে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করার পরে অবশ্যই লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া উচিত। এছাড়া গায়েত্রী মন্ত্র ১০৮ বার জপ করা উচিত। লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ করাকে অত্যন্ত শুভদায়ক হিসেবে ধরা হয়। এই লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠের ফলে বাড়ি থেকে সমস্ত নেগেটিভ শক্তি দূর হয়ে যায়। এমনকি রোগ ব্যাধি ঋণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।

দেবীর সামনে পাঁচটা কড়ি রাখুন : লক্ষ্মী পুজোর দিনে যখন দেবী লক্ষ্মীর পুজো করা হবে সেই সময় দেবীর পায়ের কাছে পাঁচটি কড়ি রেখে পুজো করুন। ভালো ফল মিলবে। পুজো শেষ হয়ে গেলে সেই কড়িগুলো ক্যাশ বাক্সে রেখে দিন।

নারায়ণের পুজো : দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুর পত্নী। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে নারায়নের পুজো করা উচিত। এদিন নারায়নের পুজো করলে দেবী লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। ফলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ মেলে। এই দিনে অনেক জায়গায় পাঁচ জন কুমারী মেয়েকে ভোগ খাইয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে তাদের কিছু জিনিস উপহার দিয়েও থাকেন। এই কাজকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়া এদিন লক্ষ্মী পুজো করার পরে চিঁড়ে ভোগ খেয়ে নারকেলের জল পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

তুলসী গাছের পুজো : হিন্দু ধর্ম মতে তুলসী গাছকে দেবী রূপে পুজো করা হয়। পুরাণ অনুযায়ী, বাড়িতে তুলসী গাছ স্থাপন করে সেখানে যদি নিয়মিতভাবে পুজো করা হয় তাহলে শুভ ফল দান করে৷

চাঁদের আলোয় পায়েস রাখা:
সনাতনী বিশ্বাস অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয়, কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে ধনদেবী লক্ষ্মী মর্তে নেমে বিচরণ করেন।তিনি সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী। তাই এদিন ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়। এদিন পুরো ১৬ কলায় চাঁদ পূর্ণ হয়। এই চাঁদের স্নিগ্ধ আলো বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী আলো বলে মনে করা হয়।  তাই এই পূণ্য তিথিতে ক্ষীর বা পায়েস রান্না করার প্রচলন আছে। পূর্ণিমার চাঁদ ওঠার পরে বাড়ির যে অংশে চাঁদের আলো পড়বে কিংবা বাড়ির ছাদে চাঁদের আলোর নিচে সেই ক্ষীর বা পায়েস রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। এই সময় পায়েসের বাটি হাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে ‘ ওম চন্দ্রামাসে নমহঃ ‘ মন্ত্রটি ২১ বার পাঠ করাকে শুভ হিসেবে ধরা হয়।  পরে সেই পায়েস বাড়ির সকলকে খেতে দেওয়া উচিত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

RELATED ARTICLES

সাম্প্রতিক খবর

মন্তব্য