পূর্ব বর্ধমান, ১১ সেপ্টেম্বর :রাধাষ্টমীতে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে মেতে উঠেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার একলক্ষ্মী গ্রামের শিবতলা এলাকা। সারাদিন পুজোপাঠ নাম সংকীর্তনের পাশাপাশি রাতে চলে পায়েস সহ খিচুড়ি ভোগের আয়োজন। মেতে ওঠে একলক্ষ্মী সহ আশেপাশের গ্রামের মানুষজনও।
জন্মাষ্টমীর ১৫ দিন পরে সারা দেশে পালন করা হয় রাধাষ্টমী। ভাদ্র মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে শ্রীরাধার জন্মদিন পালন করা হয়। চলে রাধা চল্লিশা পাঠ, রাধা মন্ত্র জপ।
কীভাবে একলক্ষ্মী গ্রামে শুরু হলো রাধাষ্টমী উৎসব?
পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না- ২ ব্লকের উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে একলক্ষ্মী গ্রাম।
সন্ধে অন্ধকার নামলেই গ্রামের শিবতলায় আড্ডা বসতো দীনবন্ধু দাস, শশাঙ্ক কুন্ডু, প্রভাত চ্যাটার্জি, তুষার রানা, সুজয় মন্ডল, কার্তিক কুন্ডুদের। সারাদিনের ঘাম ঝরানো কাজের শেষে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে দিতে অশোক মন্ডল, গৌতম দাস, বিশ্বজিৎ কুন্ডু,নীলাদ্রি চ্যাটার্জি, পঙ্কজ কুন্ডু, কৌশিক পাল,অভিজিৎ কুন্ডু, তারাপদ দাস সহ আরও অনেকের মধ্যে চলতো বিভিন্ন সরেশ গল্প। তারা হারিয়ে যেতেন বিভিন্ন স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে। আড্ডা দিতে দিতে একদিন তাদের আলোচনায় উঠে আসে স্রেফ আড্ডা না দিয়ে যদি হরিনাম সংকীর্তন করা যায়। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। কিছুদিনের মধ্যেই তারা খোল করতাল সহ অন্যান্য সরঞ্জাম হাতে পেয়ে যায়। শুধু হয় সন্ধে হলেই হরিনাম সংকীর্তন৷ এইভাবেই চলতে থাকে। গ্রামের মহিলারাও সেই কীর্তনে সামিল হন। বদলে যায় গ্রামের পরিবেশ। এদিকে তাদের ভাবনায় উঠে আসে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে যখন সারা দেশ মেতে ওঠে তখন রাধাষ্টমী উৎসব সেভাবে চোখে পড়ে না। ফলে তারা সিদ্ধান্ত নেয় রাধাষ্টমী উৎসব পালন করার। সেই মতো বছর চারেক ধরে শুরু হয়েছে রাধাষ্টমী উৎসব।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম দীনবন্ধু দাস বলেন , ‘একদিন আড্ডার ছলেই আলোচনা করে শিবতলা এলাকায় আমরা হরিনাম সংকীর্তন করতে শুরু করি। পরে রাধাষ্টমী উৎসব পালন শুরু হয়। সারাদিন নাম সংকীর্তন সহ চলে ভক্তি সহকারে পুজো। এদিন প্রায় হাজার মানুষ ভোগের প্রসাদ গ্রহণ করেন। সারাবছর আমরা এই দিনটার দিকে তাকিয়ে থাকি। ‘