আমার বাংলা ওয়েব, ২৮ মার্চ: সবেমাত্র ভোরের আলো ফুটেছে। সকাল থেকেই শিরশির করে ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা হলেও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়েছে দেবস্মি, অহনা তানিয়া, অনিন্দিতা, পায়েল, চন্দ্রানীরা। কেউ হলুদ শাড়ি কেউ গোলাপি শাড়ি, রঙ বেরঙের চুড়ি, খোঁপায় রঙিন ফুলে নিজেদের সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত। এদিকে ঘড়ির কাঁটা ছয়ের ঘর ছুঁইছুঁই। কানে আসছে মায়ের তাড়া! আর কতক্ষণ?
অন্যদিকে তখন বড় নীলপুর মোড়ে লাল্টু স্মৃতি সংঘের সহযোগিতায় তাদের ক্যাম্পাসে রঙিন সামিয়ানা টাঙিয়ে অপেক্ষা করছেন স্পন্দন নৃত্য কলা কেন্দ্রের কর্ণধার রাখী দাসগুপ্ত। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সঞ্চালিকা মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, শিল্পী মণিদীপা মজুমদার, ব্যবস্থাপক সন্দীপ চক্রবর্তী, সংস্থার সম্পাদক সঞ্জয় কুমার যাদব, চঞ্চল দাস গুপ্ত ,তিয়াসা সরকার, পম্পিয়া সরকার, স্বর্ণপ্রভা রাউত, শুক্লা মুখার্জি,সঙ্গীতা কর, তিয়াশা সরকারেরা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তারা কৃতজ্ঞ লাল্টু স্মৃতি সংঘের সম্পাদক তন্ময় সামন্তের কাছে।
কয়েক মিনিটের মধ্যেই রঙিন সামিয়ানা আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে অভিনন্দা, ঈশা, তানিশা, অঙ্গিরা, রাইনাদের হুটোপুটিতে। মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে ততক্ষণে সঞ্চালিকা মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখা করে চলেছেন কেন রঙে রঙে স্পন্দন। যে দিকে চোখ যায় শুধু রঙিন সাজে কচিকাঁচাদের কলরব। কখন যেন সবাই মেতে ওঠে আহা আজি এ বসন্ত, ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে কিংবা ওরে গৃহবাসীর সুরে। অসাধারণ নাচে গানে মুখরিত হয়ে ওঠে লাল্টু স্মৃতি সংঘের প্রাঙ্গন। ছোট্ট শিশু শিল্পী অভিষিক্তা মুখার্জির গান কানে যেতেই বাজার দোকানে বেরিয়ে অনেকেই এদিন কিছুক্ষণের জন্য অন্য জগতে ডুব দেন। মাত্র দিন কয়েকের প্রস্তুতিতে রাখী দাসগুপ্তের পরিচালনায় যে এভাবে পরিবেশের রঙ বদলে যাবে অনেকে কল্পনাই করতে পারেননি। স্বভাবতই মুখে হাসি ফোটে স্পন্দন নৃত্যকলা কেন্দ্রের কর্ণধার রাখী দাসগুপ্তের।
এদিকে ঘড়ির কাঁটাও টিক টিক করে আপন খেয়ালে এগিয়ে চলে।
মাথায় মুখে রঙ বেরঙের আবির মেখে সবাই যখন বাড়ির দিকে পা বাড়ায় কানে তখনও বেজে চলেছে লাগলো যে দোল…।