আমার বাংলা ওয়েব, ২ জুন – পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে অধিকাংশ সময়ে চোখে জল আসে। কিন্তু সেই পেঁয়াজের দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী হয় তখন পেঁয়াজ কাটার আগেই গৃহিনীদের চোখ জলে ভরে যায়। ছবিটা গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে। তাই রাজ্য সরকার চাইছে পেঁয়াজ চাষে স্বাবলম্বী হতে। তবে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন বর্ষাকালে ধান চাষের সঙ্গে যদি বর্ষাতি পেঁয়াজের চাষ করা যায় তাহলে কিন্তু চাষিরা লাভের মুখ দেখবেন। রাজ্যে মূলত পেঁয়াজ চাষ করা হয় শীতকালে।শীতকালে যে পেঁয়াজের বীজ লাগানো হয়। সেই পেঁয়াজ মার্চ মাসে তোলা হয়। কিন্তু যে পরিমাণ পেঁয়াজ চাষ করা হয় তা রাজ্যের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।
ফলে যে পরিমাণ পেঁয়াজ চাষ করা হয় সেই পরিমাণ পেঁয়াজ যদি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়
ফলে যে পরিমাণ পেঁয়াজ চাষ করা হয় সেই পরিমাণ পেঁয়াজ যদি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ নিয়ে খুব একটা সমস্যায় পড়া কথা নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রয়োজনের তাগিদে কম দামে চাষী সেই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে প্রায় প্রতিবছরই দেখা যায় বর্ষার পর থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। মাঝে মাঝে দাম আশি থেকে নব্বই টাকা ছাড়িয়ে যায়। ফলে পেঁয়াজ কিনতে নাভিশ্বাস উঠে আমজনতার। এই সমস্যা কাটাতে গেলে সংরক্ষণের দিকে জোর দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
বর্ষায় বর্ষাতি পেঁয়াজের চাষ লাভজনক : প্রথম পর্ব
More News – আজ ঘোষণা হচ্ছে না মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের সূচি, পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা
পাশাপাশি বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, এই রাজ্য বর্ষাকালে পেঁয়াজ চাষ করা যেতে পারে যাকে বলা হচ্ছে বর্ষাতি পেঁয়াজ। তারা গবেষণা করে দেখেছেন শীতকালে চাষ করা হয় সেই পেঁয়াজ বর্ষাকালে চাষ করা সম্ভব নয়। কারণ সেই পেঁয়াজের বীজ আলাদা। সেই বীজ পশ্চিম ভারত, দক্ষিণ ভারতের দিকে পাওয়া যায়। বর্ষায় পেঁয়াজ চাষে অগ্রণি ভূমিকা নিয়ে থাকে মহারাষ্ট্র। আমাদের এখানে যেমন তিনবার ধান চাষ করা হয়। মহারাষ্ট্রে তেমনি তিনবার পেঁয়াজ চাষ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত জেলায় উঁচু জায়গা রয়েছে অর্থাৎ যে সমস্ত জায়গায় বর্ষায় জল দাঁড়াবে না। সেখানে বর্ষাতি পেঁয়াজের চাষ করা যেতে পারে।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, বর্ধমান জেলার উঁচু জায়গাতে এই বর্ষাতি পেঁয়াজের চাষ করা যেতে পারে।